লিটরেলি একটা জিনিস অত্যন্ত বাজে আমাদের সমাজে! আমি বেশ কিছুদিন আগে একটা ফেসবুক গ্রুপে যুক্ত হয়েছিলাম। কেউ এড করেছিলো হয়তো আমায়। ফেসবুকে স্ক্রল করলে পোস্ট আসতো অনেক। মানুষের অসংখ্য পোস্ট দেখে অনেক কিছুই উপলব্ধি করলাম।
একটা ছেলে এবং মেয়ের মধ্যে পরিপূর্ণ যৌন চাহিদা এসে যায় ১৪-১৫ বছরের মধ্যেই। কোনমতে ওই ছেলে বা মেয়ে ১৮-২০ পাড় করলে তার চাহিদা প্রায় তীব্রভাবেই জন্মায়। এইখানে দোষের কিছু তো নেই, তাইনা? ন্যাচারাল জিনিস।
তার উপর একটা ছেলের বিয়ে পরিবার হতেও ২৮ বছরের আগে দেয়না। ফ্যামিলির মাথা ব্যথাও নাই। ফ্যামিলির কথা 'বয়স হোক, আরে বয়স হইছে নাকি।' ওইদিকে ছেলে মেয়ে যে পেকে আছে, এটা তাদের মাথায় ঢুকেনা।
যার চাহিদা জন্মায় ১৪ বছরে, তার বিয়ে হয় ২৮ বছরে। জীবনের অর্ধেক চলে যায় চাহিদা জন্মাতে। আবার চাহিদা পূরণ করতে সময় চলে যায় জীবনের আরও অর্ধেক বয়স। ফ্যামিলিও বিয়ে দেয়না। ওদিকে ছেলেও বিয়ে করতে পারেনা। বিয়ের কথা বলতেও পারেনা লজ্জায়। কেমন দেখায় না জিনিসটা?
এখন এতোকিছুর মধ্যে ছেলের মধ্যে চাহিদা থাকলে আবার সেটাতেও কিছু নারীর সমস্যা এই যে, 'পুরুষের এতো চাহিদা, শুধু ভোগ করতে পারলেই হলো।' - আসল কথা হচ্ছে ওসব নারীর এসবের চাহিদা নেই। তারা ভাবে "বিয়ে করছেন কি শুধু ভোগ করতে?" ভাই, ভোগ করতে কেউ বিয়ে করেনাই। আর এমনো না যে, বিয়ে করে সে বৈবাহিক জীবন উপভোগ করবেনা। তা যদি নাই হইতো, ছেলে ছেলে - মেয়ে মেয়ে বিয়ে করতো। তেমন যেহেতু হচ্ছেনা, তার মানে সব মিলিয়েই বিয়ে, সংসার। এটাও বিয়ের বা সাংসারিক জীবনের ই অংশ। তোমার যদি ভালো নাই লাগে, বিয়ে কইরোনা বা কোন মেয়েকে বিয়ে কইরা নিও। তাহলেই হবে। এখানে ভোগ্য শব্দটা আনা একটা বদভ্যাসে পরিনত হয়েছে। যার যার হরমোনাল ব্যাপার। যাজ্ঞে, এটা মানসিক ব্যাপার। সাইডে রাখি!
তো, এই হচ্ছে অবস্থা। আপনারে বিয়াও দিবেনা। আপনি বিয়া করতেও পারবেন না। আবার আপনার যৌবনের চাহিদা আসার পরেও আপনাকে দীর্ঘ ১৫ বছর আরও বসে থাকা লাগবে সেটা পূরণের জন্য।
১৫ বছর কি তাইলে পোলাপাইন আঙ্গুল চুষবে? ছেলে-মেয়ে তোমার সারাদিন ফোন চালায়, ভিডিও দেখে, মুভি দেখে, এতোকিছুতে কতোরকম কতো কি দেখে, দেখে কি কিছুই মন চায়না তাদের? এরা জি শিশু? দেখে কি তাদের ইচ্ছে জাগবেনা? স্বাভাবিকভাবেই মানুষ এভাবে খারাপ পথেই যায়। অনেকেই বলবে ধর্ম মেনে নামাজ রোজা করে থাকতে। দেখুন, বুঝলাম ধর্ম মানা দরকার। কিন্তু, আপনার ক্ষুধা লেগেছে। এখন আপনি বলতেছেন ক্ষুধা মেটাতে প্রতিবেলা পানি খেয়ে ক্ষুধা মেটাতে।
এক্সট্রিম সেক্সুয়াল নীড হলে সবাই বলবে "নামাজ রোজা করো। ধর্মের পথে আসো।" আচ্ছা। সেক্সুয়াল নীড হলে ধর্ম মানার পরামর্শ দিচ্ছে সবাই। অথচ সেক্সুয়াল নীড জন্মালে বিয়ে দিতে বলেছে ধর্মে, এটার বেলায় কারো কোন মাথা ব্যথা নেই।
ছেলে প্রতিষ্ঠিত হবার আশায় বসে থাকা ২৭-২৮ বছর পর্যন্ত। ততদিনে ওই ছেলের সব এমনিই পেকে পচে যায়। ২৭-২৮ বছর বয়সে বউ নিয়ে যৌবন জীবন উপভোগ আর করবে কি, সংসারের টেনশনেই বসে বসে ওয়াশরুমে বা, ল ফালাতে ফালাতেই জীবনের বাকি সময় শেষ হয়ে যায়। তাছাড়া ছেলে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেলেও ২৭-২৮ এর আগে বিয়ের কথা ফ্যামিলি ভাবেও না আবার ফ্যামিলিতে বিয়ের কথা বলতেও পারেনা ওই ছেলে লজ্জায়। বিয়া করাও আমায়, নিজে নিজে তো আর এইটা বলা যায়না। আবার ফ্যামিলিও বুঝেনা।
ঠ্যালার নাম বাবাজি। বিয়ে দিলে এমনিই সংসারের টেনশনে ছেলেরা সোজা হয়ে যায়। সংসারের টেনশনেই তখন কূল পাবেনা, আজেবাজে কাজ করার টাইম হবে?
তো যাই হোক, ঘুরেফিরে আমার কথা এটাই যে, "যৌবন চাহিদা? নামাজ রোজা করো।" ধর্মের এই কথা সবাই বলে। কিন্তু, "যৌবন চাহিদা জন্মেছে? বিয়ে করাও।" ধর্মের এই কথাটা তো কেউ বলেনা! এটার বেলায় "বয়স হয়নাই।"
পোলা তোমার পাইক্কা বইয়া আছে, আর তোমরা বলো "বয়স হয়নাই।"